কথ্য ভাষায় কি লিখা যায়?

সিলেটি নাগরী লিপি (courtesy: sylhetiproject.com)

ভাষা বলতে আমরা কি লিখিত ভাষা বুঝি না কথ্য ভাষা? পৃথিবীতে যত ভাষা আছে তার বেশীরভাগের কোন লিখিত রূপ নেই। আর ভাষার সংজ্ঞাতেও লিখিত ভাষাকে ভাষার মৌলিক একটি অংশ বলে মনে করা হয়না। ভাষার সবচাইতে গ্রহণযোগ্য যে সংজ্ঞা, তা হচ্ছে, ‘Language is a system of arbitrary vocal symbols through which human beings communicate’, অর্থাৎ, ভাষা হচ্ছে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত একটি কথ্য ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে মানব জাতি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে’। লিখিত ভাষার প্রচলন শুরু হয় ৫০০০ বছর হল। তার আগে কি মানুষ ভাষা প্রয়োগ করতনা? প্রথম মানুষ আদম (আঃ) কি ভাষা ব্যবহার করতেননা? বর্তমান বাংলাদেশের কথাই ধরুন। গত কয়েক দশকে অক্ষরজ্ঞানের সংখ্যা অনেক বাড়া সত্ত্বেও এখনো বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ লিখতে পড়তে পারেনা। কিন্তু তাই বলে কি এসব মানুষ ভাষা ব্যাবহার করেনা?

বিশ্বের সব বড় বড় ভাষার লিখিত রূপ আছে, এবং সেই লিখিত ভাষাকেই বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। ভৌগলিক সীমায় আবদ্ধ দেশগুলো (nation states) রাষ্ট্রভাষা প্রথা চালু করার পর থেকে বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর গুরুত্ব কমা শুরু হয় যা এখন চরম আকারে এসে পৌঁছেছে যার ফলে আশংকা করা হচ্ছে যে বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৭০০০ ভাষার অধিকাংশই আগামী শতাব্দী নাগাদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যেসব ভাষার লিখিত রূপ নেই, সেসব ভাষার মৃত্যু হওয়া মানে যেন সেই ভাষা কখনও ছিলইনা। অনেক বড় বড় ভাষা এই রাষ্ট্রভাষার গুরুত্বের কারণে লিখিত ভাষায় আর রুপ নেয়না, অথবা লিখিত ভাষা আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। আমাদের দেশের এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল সিলেটি নাগরী লিপি যা কালের পরিক্রমায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বিলীন হয়ে যায়। এটি খুব দুঃখজনক কারণ যারা সিলেটি ভাষায় কথা বলেন, তাদের পক্ষে বাংলা ভাষায় অক্ষরজ্ঞান লাভ মানে একটি নতুন ভাষা শিখার মত কঠিন। এর বড় প্রমাণ পাই যখন আমি 200৬-৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গোল্ডস্মিথ কলেজের একজন গবেষক হিসেবে দুটি ব্রিটিশ বাংলাদেশী স্কুলে প্রাইমারী ছাত্রছাত্রীদের সাথে কাজ করি। সেই কাজের অংশ হিসেবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ হয় একটি বাংলা ভাষা শেখার কার্যক্রম যা একটি প্রাইমারী স্কুলে সাধারণ স্কুল কার্যক্রমের পর বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের বাংলা ভাষা শেখানোর জন্য আয়োজন করা হয় সেখানকার স্থানীয় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষকতায়। সেই কার্যক্রমের সকল শিশু ছিল সিলেটি ভাষাভাষী। কিন্তু তারা অক্ষরজ্ঞান শিখছিল বাংলায়। লক্ষ্য করলাম এটা শিশুদের জন্য কত কঠিন ছিল। তারা বাড়ীতে যে ভাষায় কথা বলে তা লিখতে বা পড়তে পারছেনা, আর লিখতে পড়তে শিখছে একেবারে নতুন একটি ভাষার বর্ণ। সিলেটি ভাষায় বর্ণ সংখ্যা মাত্র ৩৩, আর বাংলা ভাষায় ৫১। তাই তারা অনেক বর্ণ শিখতে সমস্যায় পড়ছিল। এই ক্লাসের কিছু ছাত্রছাত্রী আমাদের প্রজেক্টের মুল কাজে অংশ নিচ্ছিল যেখানে আমরা দেখতে চাচ্ছিলাম শিশুরা তাদের সাধারণ স্কুল কার্যক্রমে যদি তাদের মাতৃভাষার কিছু সাহায্য নেয়, তবে তাদের জ্ঞানার্জনে তা কতটুকু সহায়তা করতে পারে। এই কাজের অংশ হিসেবে আমরা দেখতে চেয়েছিলাম ইঁদুর ও সিংহ গল্পটি তারা ইংরেজিতে না শিখে বাংলায় শিখলে এর মধ্যে নিহিত ভাষার উপকরণগুলো তাদের বুঝতে সুবিধা হয় কিনা। কিন্তু বাংলা স্কুলে ওদের অবস্থা দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম যে বাংলা লিপি তাদের এ কাজটি করতে সহায়তা না করে আরও সমস্যায় ফেলবে। তাই আমি প্রস্তাব দিলাম ইংরেজিতে তারা যে The Lion and the Mouse গল্পটি পড়েছে তা তারা সিলেটি ভাষায় অনুবাদ করুক। কিন্তু করবে কিভাবে? সিলেটির যে কোন লিপি নেই। তাই ঠিক করলাম যে তারা তাদের সিলেটি ভাষা ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করে লিখবে, যাকে বলা হয় transliteration (লিপ্যন্তর)। এর ফলে শিশুরা নিজেরাই এই গল্পের অনুবাদ করল তাদের নিজেদের ভাষায় খুব সাবলীলভাবে। যদি তারা বাংলা অক্ষরের পরিবর্তে সিলেটি নাগরী ভাষায় লিখা শিখত, তবে তা তাদের জন্য কতইনা ভাল হত। এই গবেষণাব্ধ লিখাটি একটি বিখ্যাত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

কথ্য ভাষার লিখিত রূপ না থাকার আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল চাটগাইয়া বা চট্টগ্রামের ভাষা। এই ভাষা এত সমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র যে আমার সামনে যখন বিশুদ্ধ চট্টগ্রামের ভাষা বলা হয় আমি তখন কিছুই বুঝিনা। কিন্তু চাটগাইয়া ভাষাভাষীরা শুধুমাত্র বাংলাতে তাদের অক্ষরজ্ঞান লাভ করতে পারে যা খুব দুঃখজনক। সম্প্রতি সিলেটি নাগরী ভাষার লিপি পুরুদ্ধারে কিছু কাজ শুরু হয়েছে শুনেছি, কিন্তু তা তখনি সফল হবে যখন বাংলাদেশ সরকার এ ব্যপারে কার্যকরী কোন ভূমিকা রাখবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে এসব কাজ করার জন্য আগ্রহী গবেষক এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা কতটা আছে? বাংলা একাডেমীর ওয়েবসাইটে গেলে তো কিছুই পাওয়া যায়না। বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাষাগুলো অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ও বিচিত্র। যদি এসব ভাষার নিজস্ব লিপি থাকত এবং সেসব অঞ্চলের শিশুরা তাদের প্রথম অক্ষরজ্ঞান নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় লাভ করতে পারত, তবে কতইনা ভাল হত। Linguistics এ এটাকে বলা হয় ‘Mothertongue based Language Education’, অর্থাৎ ‘মাতৃভাষা কেন্দ্রিক ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম’। পৃথিবীতে খুব কম দেশেই এটা প্রচলিত আছে, কিন্তু যেখানেই এ কার্যক্রম আছে সেখানেই শিশুরা স্কুলে খুব ভাল করে এবং একজন দক্ষ নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠে। তার মানে এই না যে ওরা রাষ্ট্রভাষায় পড়ালেখা জানেনা। তারা প্রথমে তাদের মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান লাভ করে, এবং তারপর রাষ্ট্রভাষায় পড়ালেখা শেখে। এটা শিশুদের জন্য কোন সমস্যাই নয়, কারণ শিশুদের ভাষা শেখার ক্ষমতা দারুণ এবং তারা খুব তাড়াতাড়ি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। প্রয়োজন শুধু সরকারের পক্ষ থেকে সদিচ্ছা আর সুযোগ তৈরী করে দেয়া আর ভাষাবিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসা।

এ পর্যায়ে আমি কথ্য ভাষায় লিখা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। যেহেতু আমাদের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আলাদা লিপি নেই এবং আমাদের অক্ষরজ্ঞান প্রমিত বাংলায়, তাই আমাদের অভ্যাস হল কথ্য ভাষা আঞ্চলিক ভাষায় বলা, আর লিখার সময় প্রমিত বাংলায় লিখা। এর ফলে আমাদের লিখা সবসময় আমাদের মনের ভাব ঠিকমত প্রকাশ করতে পারেনা। একই অবস্থা ইংরেজিতেও দেখা যায়। ইংল্যন্ডে ইংরেজি ভাষার চমকপ্রদ বৈচিত্র্য রয়েছে। আমি ম্যঞ্চেস্টারে থাকি আর লিভারপুলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। মাত্র ৩৩ মাইলের ব্যবধানের এই দুই শহরের কথ্য ভাষার পার্থক্য অনেক। ম্যঞ্চেস্টারের ভাষাকে Mancunian আর লিভারপুলের ভাষাকে Scouse বলে। কিন্তু লিখার সময় এই ভাষাগুলো আর ব্যবহার করা হয়না। ইংরেজি ভাষার আরেকটি সমস্যা হল এটার লিখিত অক্ষর আর কথ্য অক্ষরের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। যেমন ধরুন লিখিত ইংরেজিতে vowel মাত্র ৫টি, কিন্তু কথ্য ইংরেজিতে এর সংখ্যা ২০। আর ২০টি লিখিত consonant হলেও কথ্য ভাষাতে এর সংখ্যা ২৪। এর ফলে কথ্য ভাষা ইংরেজিতে লিখা কঠিন। অন্যদিকে বাংলা ভাষার লিখিত ও কথ্য লিপির মধ্যে এত ব্যবধান না থাকায় কথ্য ভাষা লিখা সহজ। যেহেতু আমাদের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আলাদা লিপি নেই, তাই আমার মনে হয় বাংলা অক্ষর ব্যবহার করেই আঞ্চলিক ভাষায় লিখা সম্ভব। এরই একটি বাস্তব উদাহরণ আজ দেব।

বাংলাদেশের ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যারা জড়িত তাদের নিয়ে একটি ওয়াটস্যপ গ্রুপ আছে। দেশে বিদেশে অবস্থানরত নবীন ও প্রবীণদের নিয়ে এটি একটি জমজমাট গ্রুপ। প্রতিদিন এতে সুস্থ্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয় এবং অনেকে তাদের লিখা গান, কবিতা ও অন্যান্য সৃষ্টি এখানে শেয়ার করেন। এ গ্রুপের অন্যতম সংগঠক আমার বড় ভাই নোমান আযমী। তিনি যেভাবে কথা বলেন সেভাবেই এই গ্রুপে লিখেন। নোমান ভাইয়ের কথ্য ভাষা বাংলাদেশের নতুন ঢাকার কথ্য ভাষা বলা যায় (পুরনো ঢাকার কথ্য ভাষা একেবারে ভিন্ন এবং খুবই সমৃদ্ধ)। আমি যখন সবাইকে তাদের আঞ্চলিক ভাষায় লিখতে অনূরোধ করলাম, তখন অনেকে তাদের আঞ্চলিক ভাষায় লিখা শুরু করলেন – সিলেটি, চাটগাইয়া, নোয়াখালী, পুরনো ঢাকা ও নতুন ঢাকা – সব ভাষাতেই এখন এই প্লাটফর্মে লিখার চর্চা শুরু হয়েছে। এটি আমার কাছে একটি কার্যকরী উদ্যোগ বলে মনে হয়। যেহেতু বাংলাদেশের কোন আঞ্চলিক ভাষার আলাদা লিপি নেই, তাই কথ্য ভাষায় লিখা শুরু হওয়াটা খুব দরকার। এ অভ্যাসটি যদি সবাই করা শুরু করেন, তবে আমাদের লিখিত ভাষা এক নতুন মাত্রা পাবে বলে আমি মনে করি।

সবশেষে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর মজার একটি অভ্যাসের উদাহরণ দিয়ে এই লিখা শেষ করছি। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই মেয়েটিকে চিনি কারণ তার বাবা আমার আব্বার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার ফেসবুকের পোস্টগুলি খুব মজার। যেসব বিষয়ে সে লিখে তাতো পাঠযোগ্য বটেই, তবে আমার কাছে বেশী আকর্ষণীয় তার লিখার ধরন নিয়ে। যারা একাধিক ভাষা জানেন তারা সাধারণত্ব তাদের দুটি ভাষাই তাদের কথ্য ভাষায় ব্যবহার করেন যখন তারা একই দু ভাষায় দ্বৈতভাষী অন্য কারও সাথে কথা বলেন। Linguistics এ এটাকে Codeswitching বলা হয় যা আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের পড়াই। এই মেয়েটির ফেসবুক পোস্টগুলো এই Codeswitching এ ভরা থাকে। তার মানে সে যেভাবে কথা বলে, ঠিক সেভাবেি লিখে। আমি আর কারও লিখায় বাংলা-ইংরেজির এমন মিশ্রণ দেখিনি। আমার কাছে এটা খুব চমকপ্রদ মনে হয়। এদ্বারা এটা বোঝা যায় যে মানুষের সৃষ্টিশীলতা এতই প্রকট যে লিপিগত সীমাবদ্ধতা তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনা।

প্রতিদিন আমরা ভাষা ব্যবহার করি, কিন্তু ভাষা নিয়ে আমরা কতটুকু ভাবি? আমার আজকের এই লিখাটি যদি পাঠকদের ভাষা নিয়ে ভাবতে ও কথ্য ভাষায় লিখার অভ্যাস করতে একটু সহায়তা করে তবে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস সার্থক বলে মনে করব।

4 thoughts on “কথ্য ভাষায় কি লিখা যায়?”

  1. আন্নের লেয়া হড়ি আঁই ত আচাইজ্য অই গেচি। আঁঙ্গো নোয়াখাইল্যা ভাষায় লেওন শুরু কৈল্যে ভাষার কী দশা অইবো-হেই কতা চিন্তা করি কোনোদিনও দেওনের চ্যাশটা করি ন। অন্ আন্নে যেন্ লেকতেন কৈচেন আঁই ত হাঙ্গেমাদান কৈথ্য ভাষায় লেইক্যাম। আন্নে মত্তর ওগগা বালা ভাষাবিজ্ঞানী অই যন কৈচেন, তহেলে আর ডর কিয়ের। আঁই অন্ আঁঙ্গো বাইর কিনারদি যেগুন আচে বেগ্গুনরে কৈয়াম-এরে তোরা ব্যাকে যেরুম করি কতা কচ্ হেরুম করি ল্যাক-কিচ্চু অই ত ন, এট্টূও ডরাইচনা। কীয়ের ডর,সালমান চারে কৈচে লেওনেল্লাই,আর কোনো চিন্তা নাই। এরৈ, কোডস্যুইচিঙের কতা হুইনচতনি, হুনচ্ ন,ক্যান্। কৈতন হুইনবি, আস্তে আস্তে ব্যাগ্গাইন হুইনবি,লেওন শুরু করি দিলেই অইবো,আর কিচু করন লাগতো ন। স্যার! আল্লায় আন্নের হায়াৎ দারাজ করুক। আন্রা আঙ্গো গেরামের ভাষা শরমে কোনোদিন মুকো আনি ন।মনে কৈত্যাম এডা ত ভদ্র সমাজো তোলার মতো ন। আন্নে আঁঙ্গো হেই ভাষারে জাতো তুইলচেন। নোয়াখাইল্যাগুন, কোনাই বেগ্গুন, তোরা চারেল্লাই এট্টূ আত তুলি দোয়া কর্।

    Reply
    • চমৎকার লাগল নোয়াখালীর ভাষার এই লিখা। আপনার এই প্রচেষ্টা আমার লিখাকে সার্থক করল। আর এটাও প্রমাণিত হল যে আমাদের বাংলা বর্ণমালা দিয়ে আমাদের আঞ্চলিক ভাষাগুলো লিখা যায়। অনেক ধন্যবাদ।

      Reply
  2. স্যার সিলেটি নোয়াখালি বা চট্টগ্রাম এই গুলার যদি নিজসব লিখিত লিপি থাকত তাহলে কি একটা ব্যাড়াছ্যাড় অবস্থা সৃষ্টি হত না! ইংরেজির এত এত কথ্য রুপ আছে ওগুলার যদি সব গুলার নিজস্ব‌ লিপি থাকত তাহলে ত গোলমাল পাকায়ে যেত।
    তবে আপনার আঞ্চলিক কথ্য ভাষা বাংলা বর্ণ‌মালা দিয়ে লেখা পুরাপুরি সমর্থ‌ন করি। আমার একটা থিওরি হল প্রমিত বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ ভাল ভাবে করা যায় না এত নিয়মের বাধাবিপত্তির কারণে। আমি মাঝে মাঝে যখন প্রমিত বাংলা + বরিশাইল্লাহ তে (যেটা কিনা আমার মুখের ভাষা) লিখি অনেকে দেখি আজাইরা কমেন্ট করে, এভাবে লেখা ঠিক না এইসব। আপনার লেখা দেখে ভালো লাগল

    Reply
    • গোলমাল পাকানোর কোন কারন নেই। রাষ্ট্রভাষা নিয়ে আমরা এত বেশী ব্যস্ত থাকি যে অন্য ভাষাগুলোকে গুরুত্ব দিতে আমরা সংকোচ বোধ করি। যে ভাষায় কথা বলি তা লিখতে পারায় অসুবিধা কোথায়? কেন আমরা রাষ্ট্রভাষা ও আঞ্চলিক ভাষা দুটোই লিখতে পারবনা? মনের ভাষা প্রকাশ করার জন্য শুধু কথ্য ভাষা নয় লিখিত ভাষাও একটি মাধ্যম হওয়া উচিৎ। কোন ব্যাড়াছ্যাড়া লাগবেনা। আমরা মনস্তাত্বিকভাবে এই বিষয়টা মানতে পারছিনা – এটাই সমস্যা।

      Reply

Leave a Comment